💝স্বর্গ হতে এলেন প্রভু |The Lord came from heaven bengali Christian Song Lyrics
👉Song Credits:
Singer - Pastor Adam Bag Song written by - Pastor Adam Bag (01Aug2004) Keyboard - Arindam Naskar Rytheme - Maharshi Singha Acoustic Guitar - Rudra Kumar Singho Tabla- Biswajit Patra Music Directed by - Adam Bag Music arrangement - Niladri Bag Vocal mixing & mastering - Niladri Bag
Lyrics:👈
স্বর্গ হতে এলেন প্রভু
মানবেরই উদ্ধারীতে.... (2)
আয় পাপি আয়
যীশুর ছোঁয়ায়
ধন্য হবে এ জীবন..... (2)
ধন্য হবে এ জীবন.....
স্বর্গ হতে এলেন প্রভু
মানবেরই উদ্ধারীতে....
1) প্রভু যীশু আজ
পাপীর তরে
জীবন দিলেন ক্রুশ পরে.... (2)
আত্মজনের উদ্ধারিতে ......
করিলেন আত্মদান..... (2)
করিলেন আত্মদান......
2) বিনা দোষে আজ
সহেন প্রভু
কত জাতনা কত অপমান..... (2)
কাটার মুকুট মাথায় তাহার
কুক্ষিদেশে রক্ত ঝরে.... (2)
কুক্ষিদেশে রক্ত ঝরে....
3) ক্ষমার বাণী মাধুরীতে
হবে জীবন ভরে নিতে.... (2)
এমন পরম সাথী আমার
নেই আজ এই ভুবনে..... (2)
নেই আজ এই ভুবনে......
*************
👉Full Video Song On Youtube;
📌(Disclaimer):
All rights to lyrics, compositions, tunes, vocals, and recordings shared on this website belong to their original copyright holders.
This blog exists solely for spiritual enrichment, worship reference, and non-commercial use.
No copyright infringement is intended. If any content owner wishes to request removal, kindly contact us, and we will act accordingly.
All rights to lyrics, compositions, tunes, vocals, and recordings shared on this website belong to their original copyright holders.
This blog exists solely for spiritual enrichment, worship reference, and non-commercial use.
No copyright infringement is intended. If any content owner wishes to request removal, kindly contact us, and we will act accordingly.
👉The divine message in this song👈
✝️ স্বর্গ হতে এলেন প্রভু — এক পরিত্রাণের সঙ্গীত
*স্বর্গ হতে এলেন প্রভু, মানবেরই উদ্ধারীতে* — এই পঙ্ক্তিগুলি যতবার শোনা যায়, ততবার এক অদ্ভুত কৃতজ্ঞতা ও প্রেমের অনুভূতি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের মূলে যে মহান ত্যাগ ও প্রেম নিহিত, এই গানটি তারই স্পষ্ট প্রতিফলন।
এই গানটি রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনায় পাস্টর অ্যাডাম বাগ-এর অন্তর থেকে উৎসারিত ঈশ্বরের প্রতি তার ভক্তি, যীশুর প্রতি তার প্রেম ও কৃতজ্ঞতার এক গভীর বহিঃপ্রকাশ। ২০০৪ সালে রচিত এই গানটি আজও হাজার হাজার বিশ্বাসীর হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে।
১. স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে: ঈশ্বরের করুণার ইতিহাস
প্রথম স্তবকে আমরা দেখতে পাই যীশু খ্রিস্টের অবতরণ — "স্বর্গ হতে এলেন প্রভু, মানবেরই উদ্ধারীতে"। পবিত্র বাইবেলের ইয়োহন ৩:১৬ এই গানের মূল ভীত হিসেবে কাজ করে:
> “কারণ ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করেছেন যে, তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে দান করেছেন...”
যীশুর অবতরণ শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, এটি ঈশ্বরের প্রেম ও করুণার এক চিরন্তন নিদর্শন। পাপগ্রস্ত মানবজাতির জন্য পরিত্রাণের দ্বার খুলে দিতে তিনি স্বর্গের মহিমা ত্যাগ করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন।
২. পাপীর তরে জীবন বিসর্জন
দ্বিতীয় স্তবকে আমরা দেখি যীশুর আত্মবিসর্জনের গভীরতা:
> “প্রভু যীশু আজ, পাপীর তরে, জীবন দিলেন ক্রুশ পরে…”
এই পঙ্ক্তিগুলির মধ্যে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দৃশ্য অত্যন্ত জীবন্তভাবে ফুটে ওঠে। বাইবেল অনুযায়ী, রোমীয়দের হাতে, একটি দণ্ডবিধির মতো ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিলেন যীশু। অথচ তিনি নিষ্পাপ ছিলেন — “তিনি কোন পাপ করেননি, তাঁর মুখেও কপটতা ছিল না” (১ পিতর ২:২২)।
এই আত্মবিসর্জনই আমাদের মুক্তির পথ — তাঁর রক্তধারাই আমাদের পাপ ধুয়ে মুছে দিয়ে নতুন জীবন দান করে।
৩. বিনা দোষে সহ্য করা লাঞ্ছনা
তৃতীয় স্তবকে আমরা দেখি সেই অপমান, যন্ত্রণা এবং শারীরিক কষ্টের বর্ণনা যা যীশু খ্রিস্ট বিনা দোষে সহ্য করেছিলেন:
> “বিনা দোষে আজ, সহেন প্রভু, কত যাতনা কত অপমান...”
কান্দিতো বাগানে গ্রেপ্তার, মোহরায়ণের পর মিথ্যা সাক্ষী, পেটানো, মুখে থুথু, কাঁটার মুকুট — যীশুর কষ্ট ছিল সীমাহীন। “কুক্ষিদেশে রক্ত ঝরে” — এই পঙ্ক্তি যীশুর গল্গোথার রক্তাক্ত আত্মবিসর্জনের স্মারক।
যদিও তিনি রাজাধিরাজ, তবুও নিজেকে "দাস"-এর মতো নম্র করে তুলেছিলেন (ফিলিপীয় ২:৬-৮)।
৪. ক্ষমার বাণী — প্রেম ও মুক্তির প্রতিজ্ঞা
গানের শেষ স্তবকটি আমাদেরকে যীশুর দান করা ক্ষমার বার্তার দিকে নিয়ে যায়:
> “ক্ষমার বাণী মাধুরীতে, হবে জীবন ভরে নিতে…”
যীশুর এই ক্ষমা পৃথিবীর অন্য কোনো প্রেমের সাথে তুলনা করা যায় না। ক্রুশে থেকেও তিনি বলেছিলেন:
> “পিতা, তুমি এদের ক্ষমা করো, কারণ এরা জানে না এরা কি করছে।” (লূক ২৩:৩৪)
এমন ক্ষমার বার্তা জীবনকে পরিবর্তন করে দেয়। পাপের জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় বার্তা নয়, বরং প্রতিটি পাপী হৃদয়ের জন্য মুক্তির ডাক।
৫. পরম সাথীর সন্ধানে
> “এমন পরম সাথী আমার, নেই আজ এই ভুবনে…”
এই পঙ্ক্তির মধ্যে প্রতিফলিত হয় যীশুর সেই চিরস্থায়ী সান্নিধ্য যা পৃথিবীর কোনো বন্ধু বা আত্মীয় দিতে পারে না। তিনি আমাদের ত্যাগ করেন না, ভুলে যান না। হিব্রু ১৩:৫-এ লেখা আছে:
> “আমি কখনোই তোমাকে ত্যাগ করবো না, কখনোই তোমাকে পরিত্যাগ করবো না।”
এই গান আমাদেরকে স্মরণ করায়, যীশুই সেই বন্ধু যিনি আমাদের দুঃখে-সুখে, পাপে-পবিত্রতায়, পতনে-উত্থানে পাশে থাকেন।
৬. একটি আহ্বান — “আয় পাপি আয়”
এই গানের অন্যতম হৃদয়ছোঁয়া অংশ হলো:
> “আয় পাপি আয়, যীশুর ছোঁয়ায়, ধন্য হবে এ জীবন...”
এই আহ্বান যেন নিজেই যীশুর কণ্ঠস্বর। এটি প্রেমের ডাক, ত্যাগের স্বীকৃতি এবং মুক্তির অফার। প্রতিটি পাপীর কাছে এক অনুরোধ — ফিরে এসো, গ্রহণ করো ক্ষমা, বদলে দাও তোমার জীবন। এই ডাক আজও প্রাসঙ্গিক, প্রতিটি মানুষের জন্য।
“*স্বর্গ হতে এলেন প্রভু*” শুধু একটি গান নয় — এটি এক ঈশ্বরীয় আহ্বান, ত্যাগ ও প্রেমের বাণী। এটি আমাদের স্মরণ করায়, আমরা কতটা মূল্যবান যে ঈশ্বর নিজে আমাদের উদ্ধার করতে এসেছেন। এই গানের প্রতিটি স্তবক এক একটি বাণী — আশার, মুক্তির ও প্রেমের।
আজ যদি আপনি যীশুর এই প্রেমকে গ্রহণ করেন, তবে সত্যিই আপনার জীবন ধন্য হবে।
✝️ যীশুর আগমন: ঈশ্বরীয় পরিকল্পনার পরিপূর্ণতা
যীশুর পৃথিবীতে আগমন আকস্মিক কোনো ঘটনা ছিল না, বরং এটি ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পিত এক মহাযোজনার অংশ। বাইবেলের আদিপুস্তক (Genesis 3:15) থেকে শুরু করে মালাখি পর্যন্ত, যীশুর আগমনের প্রতিশ্রুতি ছিল। এই গানটি সেই পরিপূর্ণতার গীত — যখন ঈশ্বর সময় পরিপূর্ণ দেখে স্বর্গের ঐশ্বর্য ত্যাগ করে তাঁর পুত্র যীশুকে পাঠান আমাদের মুক্তির জন্য।
গানে বলা হয়েছে —
> “স্বর্গ হতে এলেন প্রভু, মানবেরই উদ্ধারীতে…”
এখানে শব্দ দুটি গুরুত্বপূর্ণ:
* *"স্বর্গ হতে"* — যা যীশুর ঐশ্বরিক উৎসের সাক্ষ্য।
* *"উদ্ধারীতে"* — যা তাঁর পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে।
যীশু শুধুমাত্র একজন মহান শিক্ষক বা ভবিষ্যদ্বক্তা নন; তিনি হলেন সেই “উদ্ধারকর্তা”, যিনি আমাদের পাপ থেকে মুক্তি দিতে এসেছেন।
🩸 ক্রুশবিদ্ধের মাধ্যমে প্রেমের প্রকাশ
গানের দ্বিতীয় স্তবকে আমরা পাই:
> “প্রভু যীশু আজ, পাপীর তরে, জীবন দিলেন ক্রুশ পরে...”
এই লাইনটি প্রেমের চূড়ান্ত রূপ। রোমীয় ৫:৮ বলছে:
> “আমরা পাপী থাকাকালীনই খ্রিস্ট আমাদের জন্য প্রাণ দিলেন – এর মধ্যেই ঈশ্বর আমাদের প্রতি নিজের প্রেম প্রকাশ করেছেন।”
পবিত্র যীশু স্বেচ্ছায় ক্রুশবিদ্ধ হন — এটি এক অদ্বিতীয় ঘটনা। তিনি জীবন উৎসর্গ করেন না শুধুমাত্র ধর্মানুরাগীদের জন্য, বরং সেই সকল “পাপীদের” জন্য যারা এখনও তাঁকে অস্বীকার করে। এই প্রেম বিনিময়ের অপেক্ষা করে না; এটি নিঃস্বার্থ, শর্তহীন।
👑 অপমানের মধ্যেও রাজাধিরাজ
যীশুর জীবন ও মৃত্যু যেন এক অসম্ভব বৈপরীত্যের গল্প — একজন রাজা যিনি দাসের মতো অপমানিত হন, কাঁটার মুকুট পরেন। গানে এই অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন রয়েছে:
> “কাটার মুকুট মাথায় তাহার, কুক্ষিদেশে রক্ত ঝরে…”
এই দৃশ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যীশুর দণ্ড সহ্য করার ক্ষমতা এবং মানবজাতির প্রতি তাঁর সীমাহীন ধৈর্য ও প্রেম। পিলাতের কোর্টে, কাঁটার মুকুট, চাবুকের আঘাত, ব্যঙ্গ — সবকিছুই সেই অবর্ণনীয় যন্ত্রণার অংশ যা তিনি আমাদের জন্য সহ্য করেন।
🕊️ ক্ষমার বাণী — নতুন জীবনের সূচনা
গানের একটি চমৎকার উপসংহার দেখা যায় এই পঙ্ক্তিতে:
> “ক্ষমার বাণী মাধুরীতে, হবে জীবন ভরে নিতে…”
পৃথিবীর কোনো আদালত এমন ক্ষমার রায় দিতে পারে না যা যীশু ক্রুশ থেকে ঘোষণা করেছেন। তাঁর ক্ষমা পুনর্জন্ম দেয়। এটি শুধু অতীতের পাপ মুছে দেয় না, বরং নতুন উদ্দেশ্য ও পরিচয় দেয় — ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে আমাদের স্থাপন করে।
এই ক্ষমা আমাদের ব্যর্থতা ও লজ্জাকে পরিণত করে পরম শান্তিতে।
🫂 পরম বন্ধু যীশু — আত্মিক একাকিত্বের সমাধান
আজকের জগতে যখন বহু মানুষ নিঃসঙ্গতা, আত্মিক শূন্যতা, সম্পর্কের ভাঙন ইত্যাদিতে জর্জরিত, তখন এই গান আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
> “এমন পরম সাথী আমার, নেই আজ এই ভুবনে...”
এই “সাথী” হলেন যীশু, যিনি “সকল বন্ধুদের থেকেও আপন” (নীতি বাক্য ১৮:২৪)। তিনি আমাদের অনুভব করেন, আমাদের বোঝেন, এবং কখনও আমাদের ত্যাগ করেন না। যখন মানুষ ব্যর্থ হয়, যীশু তখনো পাশে থাকেন। তিনি শুধু “ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি” নন, বরং “বর্তমানের সহচর”।
🙏 “আয় পাপি আয়” — একটি আহ্বান, একটি সুযোগ
গানের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক আহ্বানটি হলো:
> “আয় পাপি আয়, যীশুর ছোঁয়ায়, ধন্য হবে এ জীবন...”
এই বাক্যটি যীশুর সেই অন্তরের ডাক —
"যে কেউ তৃষ্ণার্ত, সে আমার কাছে আসুক" (জন ৭:৩৭)।
এই ডাক আজও জীবন্ত। আপনি যতই পাপী হন, আপনি যদি ফিরে আসেন, যীশু আপনাকে গ্রহণ করবেন। তাঁর স্পর্শে ধন্য হয়ে উঠবে আপনার জীবন, পূর্ণতা পাবে হৃদয়।
💡 ব্যক্তিগত অনুধ্যায়
এই গানের প্রতিটি স্তবক যেন একটি জীবন্ত সাক্ষ্য — ঈশ্বরের প্রেম, যীশুর আত্মত্যাগ এবং ক্ষমার সৌন্দর্যের। এটি শুধুমাত্র শ্রবণের গান নয়, জীবনের গান। এটি আমাদের বিশ্বাস, কৃতজ্ঞতা এবং প্রত্যাবর্তনের দিকে নিয়ে যায়।
যদি আপনি কখনও মনে করেন আপনি অযোগ্য, মনে রাখবেন, যীশু ঠিক অযোগ্যদেরই জন্য এসেছিলেন।
যদি আপনি মনে করেন আপনি একা, মনে রাখবেন, যীশু বলেছিলেন:
> “আমি তোমার সঙ্গে আছি সবদিন” (মথি ২৮:২০)।
📜 উপসংহার
“*স্বর্গ হতে এলেন প্রভু*” গানটি যেন এক দৈব প্রেমপত্র — যা ঈশ্বর পাঠিয়েছেন তাঁর সন্তানের কাছে। এটি শুধুমাত্র একটি সঙ্গীত নয়, একটি আহ্বান, একটি সাক্ষ্য, একটি জীবনদর্শন।
আসুন, আমরা যীশুর সেই আত্মত্যাগকে হৃদয়ে ধারণ করি, তাঁর ক্ষমাকে গ্রহণ করি, এবং সেই প্রেমে নিজের জীবন উৎসর্গ করি।
আপনি চাইলে এই রচনাটির HTML ফর্ম্যাট, ব্লগার সাজেশন, বা অন্যান্য ভাষায় অনুবাদেও আমি সাহায্য করতে পারি। শুধু বলুন, আমি সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করে দেব।
***************
📖 For more bengali and multilingual Christian content, visit: Christ Lyrics and More
0 Comments